আপনি আর ইসলামী আলেম জানেন!

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজউদ্দৌলা আলিম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেবেন বলে  নুসরাতকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন, নুসরাত   পুলিশের কাছে সিরাজউদ্দৌলা তার শরীরের স্পর্শকাতর স্হানে জোড়পূর্বক হাত দেওয়ার কুৎসিত ঘটনা অত্যন্ত কাতরভাবে বর্ননা করেন পুলিশের কাছে, মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলাও করেন। এরইমধ্যে আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে যান নুসরাত, বোরকা পরা একটি মেয়ে তাঁকে জানান, নিশাত নামের এক বান্ধবীকে ছাদে মারধর করা হচ্ছে এই মিথ্যা কৌশলে মাদ্রাসার ভেতরের সাইক্লোন শেল্টারে তৃতীয় তলার ছাদে নিয়ে সেখানে নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিশ্চিত ভাবেই কোরান জানেন যেমন জানেন সহি ইসলাম এবং নবী মুহাম্মদের জীবনী, অবশ্যই জানেন ইসলামের পরকালের ধারণা! সব জানার পরেও বোরকা পরিহিতা নুসরাতের দিকে মাদ্রাসা অধক্ষের যৌন লালসার কোনো কমতি দেখা যায়নি! মাদ্রাসার অধক্ষ অবশ্যই ইসলামের আলোতে উজ্জীবিত হয়ে নিজের স্ত্রী ও মেয়েদের জন্য ইসলামী জীবন যাপনে বাধ্য করেছেন! এলাকার ওয়াজ মাহফিলে নিশ্চিতভাবেই উনার অবদান থাকে কিংবা যাকাত রোজা বা ইসলামী সালাত আদায়ে মুহাম্মদ আমাদের মুসলমানদের অনুপ্রেরণা এবং তা প্রচার করেন! এলাকার ছোট ছোট সালিশ গুলাতে কোরান হাদিস থেকে নির্দেশ দেন! নামাজের সময় সহকর্মীদের উৎসাহিত করেন জামাতে যেতে! এলাকার মসজিদ নির্মানের জন্য প্রশাসনে সকল ধরনের যোগাযোগ তিনিই হয়ত করে থাকেন! মিলাদ মাহফিলের সম্মানিত আসনে উনাকে জায়গা দেওয়া হয়! এই ধার্মিক মুসলমান অধ্যক্ষ পূর্ণাঙ্গ একটি ইসলামী অনুশাসনে চলেও, নুসরাতের বুকে হাত দিতে কোন অপরাধবোধ কাজ করেনি কিংবা আরো আগে মাদ্রাসায় লাগাতার ছোট শিশুদের আল্লাহর ভয় দেখিয়ে তাদের ধর্ষন করার সময়ও তার কোন ভয় বা অপরাধবোধ কাজ করেনি! ইসলাম ধর্ম নবীজির জীবন, কোরান হাদিস, হজ্জ উমরা, নামাজ কালাম কোন কিছুই নুসরাতকে কেরোসিন 
দিয়ে পুডিয়ে মারার জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়াইনি! এতসব ইসলামী ভাবগাম্ভীর্যের বা সমাজে ধর্মের বা ধার্মীকের সামাজিক সম্মান প্রাপ্তির কতটা যোগ্য ? ইসলাম অনুসারী ও হেফাজতকারী শফি হুজুর নিশ্চিতই তার সময়ে কাওয়ামী মাদ্রাসায় ছোট শিশুদের ধর্ষন করেছেন তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে! আপনার বাসায় কোরান শেখাতে আসা মিষ্টভাষী ও শিষ্ট ও ভদ্র ব্যবহারের হুজুর নিশ্চিত ভাবেই আপনার সন্তানকে যৌন হয়রানী বা ধর্ষন করছে আপনার দেওয়া ধর্মীয় সম্মান ও সুযোগ নিয়ে! জাতীয় ঈদগা্হ ইমাম বা বায়তুল মোকারমের খতিব নিশ্চিত ভাবেই তাদের পাপ্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছিলেন! ইসলামী আলেমরা ছডিয়ে থাকা এতিম মাদ্রাসাগুলোতে নির্ভয়ে ও নির্বিচারে যৌন কাজ করে যাচ্ছেন যার যার অবস্হানে থেকে। সারারাত ওয়াজ মাহফিল করে আপনার ঘরে সম্মানিত হয়ে রাত্তি যাপন কালে হুজুর আপনার পরিবারের কাউকেই ধর্ষন করছেন আপনার অগোচরে! প্রধানমন্ত্রীর সন্তানদেরও হয়ত এরকম যৌন হয়রানীর বা ধষর্নের শিকার হতে হয়েছিল কোরান শিক্ষার সময়কালে সামাজিক লজ্জা বা আল্লাহর ভয়ে জয় অথবা পুতুল তা প্রকাশ করেনি পার্থক্য শুধু এখানেই নুসরাত তা প্রকাশ করেছিল!

Comments

Popular Posts