মুসলমান,যাদের বুক জুড়েই ঘৃনা!

ইসলাম নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে! অনেক কিছু সামনে নিয়ে আসা  হয়েছে শুধু মানুষ কে  ভ্রান্তপথ থেকে আলোর পথে নিয়ে আসার জন্য! কিন্তু একটা অদ্ভুদ ব্যাপার লক্ষ করি যে যত বার বলা হয় মূল সমস্যা কোরান ততবারই মুসলিমরা হত্যা করেছে এই সত্যকে শুধুমাত্র ধর্ম এবং ধর্ম ব্যবসা কে টিকিয়ে রাখতে! বায়ান্ন জন মুসলীম মারা যাবার পর পৃথিবী জুড়েই শোক প্রকাশ হয়েছে হয়েছে প্রতিবাদ কিন্তু যে বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন ছিল তা করেনি, কেন ইউরোপ জুড়ে মসজিদ আর ইসলামিক সেন্টার? কি পড়ানো হয় তাতে? এই ইসলামী পড়াশুনা দিয়ে কি করবে ইউরোপ? এই সভ্য সমাজ তৈরীর সময় কি কোরানের প্রয়োজন ছিল? কিংবা যে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে পশ্চিমা জনগন অভ্যস্ত তা কি কোরানের অবদান? ইউরোপের পার্লামেন্টের আইনের  জন্য কি কোরানের সাহায্য নেওয়ার দরকার ছিল? না, তাহলে কোরানের ভুমিকা কি? ইউরোপে বসতি গড়ে তোলা এশিয়া ও আরব মুসলমানের ধর্মীয় স্বাধীনতার নামে যে কাজটা করছে তা হল শত্রুর মাটিতে নিজেদের অস্তিত্ব কে  শক্তিশালী করা আর তার যে কারনে আইএস জঙ্গী শামিমা বেগম এর বৃটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার কারনে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে ক্ষুদ বৃটিশ স্বরাষ্টমন্ত্রী কে! সেই একই সমালোচনা থেকে বাঁচতে নিউজিল্যান্ডর প্রধানমন্ত্রী মুসলীম তোষন করতে মাথায় কাপড় দিয়ে মুসলীমদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছিলেন! চার্চে নিহত মানুষগুলোর প্রতি মনে হয় না অবিচার করা হচ্ছে, মুসলিমদের প্রতি ঘৃনা এবং প্রতিবাদ না করে? মুসলমানরা এখন প্রকাশ্যে বলে ইসলামের সমালোচনাকারীকে হত্যা করা ইসলামে জায়েজ বা বৈধ! একজন কুরান মানা একজন মুসলমানকেও ইন্ডিয়ার তাজ হোটেলে, লন্ডনের বরো মার্কেটে, ফ্রান্সে কিংবা জার্মান অথবা হলিআর্টিজানে থেকে শুরু করে তিউনিশিয়া হোটেলে হত্যা করা নিরপরাধ মানুষ গুলোর জন্যও অনুশোচনা করতে দেখেছেন? প্রতিটা মুসলমান তার নিজ ধর্মের ব্যাপ্যারে অনুগত এবং বিশ্বাসী তাহলে কি কারনে মুসলমানরা তাদের নিজেদের প্রধান ধর্ম বই কোরান যা নির্দেশ দেয় তা অমান্য করবে? প্রতিটা মুসলমান নিজের ভিতর অমুসলীমদের জন্য ঘৃনা লালন করে, কোরান জানা ধর্মগুরুরা শুধু একজন জিহাদির ধর্ম বারুদে আগুন ধরিয়ে দেন! প্রতিটা মুসলমান জুম্মার খুতবায় কাফের অমুসলিমদের ধ্বংস কামনা করেন এবং মুসলীম বিশ্বের কল্যান কামনা করেন!
ছোট বেলার বন্ধু, জীবনের কত সময় একসাথে পার করে এসে এখন ফেসবুক অন্যের লেখা শেয়ার করার কারনে নিসংকোচে প্রশ্ন করে “ তুমি কি বিদ্বেষী?” অবাক হই নাই একটুও! শুধু একটা শংকা ধর্মের জন্য এই প্রিয় বন্ধুটাই একদিন চাকু কিংবা চাপাতি দিয়ে নির্ধিদ্বায় হত্যা করবে! প্রত্যেকটা মুসলমান আমার ছোট বেলার এই বন্ধুটার মত!
শ্রীলংকার মুসলীম হামলারারী সংগে খুব পারিবারিক ভাবে ইসলাম প্রচারক জাকির নায়েক কে দেখা গেছে, জাকির  নায়েক কে ইসলাম শেখানোর প্রয়োজন আছে? সহি ইসলাম?
এই মসজিদ এই মাদ্রাসা এই ইসলামিক সেন্টার এই কুরান তেলাওত এই সবই একটা বৃহৎ ইসলামী রাজনীতির অংশ এই বর্বর ধর্মপ্রচার ও ধর্মস্বাধীনতার উপর নিয়ন্ত্রন না নিলে প্রতিদিন মুসলমান তাদের বর্বরতার তান্ডব দেখাবে বিশ্বকে!
মাশরাফির মেয়ে হুমায়রা মু্র্তুজা কুরান ভয়েস প্রতিবযোগিতায় প্রথম হইছে এইটা বাংগালির জন্য অনেক বড়  অশানি সংকেত এই কারনে যে,মাশরাফি মত তারকার ভবিষৎ প্রজন্ম নিজেদের বাংগালির পরিবর্তে নিজেদের মুসলমান হিসিবে পরিচয় দিবে যেমন টা শাকিব আল হাসান উগ্রমুসলমানের মত দাড়ি দেখিয়ে দেশবাসীকে জুম্মামোবারক দেয় যখন প্রতিটা মানবিক মানুষের হৃদয় শোকে ভরাক্রান্ত তিনশো নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুতে!